শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি গল্প
খুঁজি খুঁজি নারি ও অদৃশ্য ত্রিকোণ
প্রথম গল্পটিতে দেখা যাচ্ছে ব্যোমকেশ ও অজিতের এক শুভানুধ্যায়ী প্রবীণ ভদ্রলোক তাঁদের চিঠি দিয়ে জানাচ্ছেন যে তিনি বেশীদিন বাঁচবেন না, এবং সেই চিঠিটিতে তাঁর উইল করা আছে অদৃশ্য কালিতে (পেঁয়াজের রস দেওয়া কালিতে); ব্যোমকেশ ও অজিত প্রথমে বোঝে নি, ভদ্রলোকের বাড়িতে তিনি মারা যাবার পর উইল খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখেন যে হামানদিস্তায় পেঁয়াজের গন্ধ ও পেঁয়াজের প্রতি তাঁর হঠাৎ আকর্ষণ — সেখান থেকে ব্যোমকেশ সন্দেহ করে যে হয়ত তাকে পাঠানো চিঠিতেই উইলটা করা হয়ে থাকবে । ঠিক তাই।
দ্বিতীয় গল্পের টুইস্ট-টা আরো ভাল। সেখানে একটি দম্পতির কথা আছে, তার মধ্যে স্ত্রীটি চৌকস ও তাঁর শ্বশুর মশাই তাঁকে সম্পত্তি দিয়ে গেছেন; ভদ্রমহিলার স্বামী কিঞ্চিৎ হাবাগোবা ধরণের — আসলে তা তিনি নন, সেজে থাকেন। লোকটি স্থানীয় একটি গুণ্ডাকে ঠিক করে স্ত্রীকে মারবে বলে, কিন্তু গল্পক্রমে সে নিজেও পিস্তল দিয়ে গুণ্ডাটিকে নিকেষ করে। আসলে টুইস্ট-টা যেখানে গল্পের দারোগার সঙ্গে লোকটির স্ত্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে যায় — তাই অদৃশ্য ত্রিকোণ।
দুটো গল্পতেই শরদিন্দুবাবুর গল্প বলার মুনসিয়ানা দেখবার মতন। টানটান করা দুটো গল্প।
আজকাল গল্প পড়ার একটা নতুন স্টাইল ঠিক করেছি: যে গল্পটা পড়ব তাকে হয় ছোট আকারে লিখে রাখব নয় তার একটা পেন্সিল স্কেচ করে রাখব কমিকের মত করে। খুব সহজ স্কেচ, কাঠির ফিগার, ছোট ছোট রেখা, যতটুকু না হলে নয়। তিনটে * তিনটে = ৯ টার ফ্রেমের স্টোরিবোর্ড তৈরী করে রাখব। ইংরিজি, বাংলা যা বই পড়ব, তার সকলের জন্যই এই বন্দোবস্ত। করার পর স্ক্যান বা ছবি তুলে এখানে দিয়ে দেব।
ফেলুদা: বোসপুকুরে খুনখারাপি
