Member-only story

একশো পঁচিশ বছর পরে পূজার ছলে ভুলে থাকা

Arindam Basu
2 min readJan 25, 2021

… নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ভিকটোরিয়া মেমোরিয়ালে ১২৫ বছর উদযাপন বিষয়ক

ভারতবর্ষে, বিশেষ করে বাংলায় আমরা যে ক’জন মনীষীকে প্রাতঃস্মরণীয় বলে মনে করি, তাঁদের সকলের চেয়ে সুভাষচন্দ্র একটি ব্যাপারে স্বতন্ত্র, সেটি তাঁর অনমনীয় ইংরেজ সাম্রাজ্যবিরোধিতা। এই পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, সুভাষচন্দ্র কেবল আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক নন, তিনি কেবল স্বাধীনতার সৈনিক নন, তিনি সত্যিই এশিয়ার মুক্তিসূর্যও বটে, যেখানে তাঁর যুদ্ধ ছিল সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম তারই একটি অংশ।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং কলোনি প্রতিষ্ঠা ভারতবর্ষ এবং অন্যান্য প্রান্তে শুরু হয়েছিল এবং দৃঢ় হয়েছিল মহারানী ভিকটোরিয়ার শাসনকালে। বিশেষ করে ১৮৫৭’র মহাবিদ্রোহের অবসানে ইংলণ্ডেশ্বরী ভারতকে ব্রিটিশ কলোনী রূপে শৃঙ্খলে বাঁধলেন এবং একটি স্বাধীন প্রাচীন দেশ তার পর দুশো বছর ধরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কলোনি হিসেবে দাসত্ব শৃঙ্খলিত হল। এই দাসত্ব থেকে মুক্তির অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।

ভিকটোরিয়া মেমোরিয়াল নামে কলকাতার স্মৃতিসৌধটিকে এই পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিবেচনা করব। আজকে সেই সৌধ হয়ত কলকাতার সাংস্কৃতিক অঙ্গ, অত্যন্ত সুরম্য একটি স্থাপত্য, সন্দেহ নেই, তবুও এর ইতিহাস ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহারাণী, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিকে অমলিন করে রাখার জন্যই এর সৃষ্টি, এই জায়গাটিতে সুভাষচন্দ্র, যিনি সেই সাম্রাজ্যের উল্টোদিকে রুখে দাঁড়িয়ে থাকা এক অসমসাহসী যোদ্ধা, তাঁর স্থান থাকার কথা নয়।অন্তত আমি মনে করতে পারি না যে…

--

--

Arindam Basu
Arindam Basu

Written by Arindam Basu

Medical Doctor and an Associate Professor of Epidemiology and Environmental Health at the University of Canterbury. Founder of TwinMe,

No responses yet